রবিবার, ১৩ Jul ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন।। নতুন সাইনবোর্ড পটুয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হলেন কলাপাড়া থানার রাসেল খান ব‌রিশা‌লে সাংবা‌দি‌কের বিরু‌দ্ধে বিএন‌পি নেত্রীর মামলার প্রতিবা‌দে মানববন্ধন ব‌রিশা‌লে সড়‌কে বৃক্ষ রোপন ক‌রে বি‌ক্ষোভ ব‌রিশা‌লে প‌লি‌টেক‌নিক শিক্ষার্থী‌দের বিক্ষোভ কলাপাড়ায় পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল দুর্ভোগে পথচারীরা কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি কুয়াকাটায় জলবায়ু মোকাবেলায় রাখাইন জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ সভাপতি জাবেদ, সম্পাদক সোয়েব।।ঢাকাস্থ কলাপাড়া জাতীয়তাবাদী ফোরামের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত জাগুয়া ইউনিয়ন বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন পটুয়াখালীতে ৪টি বিদ্যালয়ে এসএসসি  পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি ১ জনও বাউফলে টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্ভোগে জনজীবন কলাপাড়ায় গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেল সাংবাদিক পুত্র নূর বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী উদ্বোধন কলাপাড়ায় উন্নত চিকিৎসা দিতে অসুস্থ সাপের এক্সরে
বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল রাজাকারের তালিকায় ৯৪ !

বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল রাজাকারের তালিকায় ৯৪ !

Sharing is caring!

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় এবারে বরিশালের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মিহির লাল দত্ত’র নাম এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে এ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বরিশাল বিভাগের রাজাকারদের নাম নিয়ে প্রকাশিত তালিকার ২২ নম্বর পাতায় ৯৪ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে রাজাকার হিসেবে। সেখানে তার বাবার নাম জিতেন্দ্র দত্ত ও ঠিকানা আগরপুর রোড উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত।

শুভব্রত বলেন, আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর- ২৮৯ ২১/০৫/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নম্বর- ০৬০১০১১০৬০। এছাড়া মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সাময়িক সনদ নম্বর- ম২৮৬১৬। তার নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। যারা এই তালিকার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন শুভব্রত দত্ত।

শুভব্রত আরও বলেন, আমার বাবা, দাদাসহ পরিবারের ৫ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে ২ জন শহীদ হয়েছেন। রাজাকারের তালিকায় বাবার নাম প্রকাশিত হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত ও হতাশ।

পরিবার সূত্র জানায়, মিহির লাল দত্ত ১৯৩৫ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা অ্যাড. জিতেন্দ্র লাল দত্ত, মা শোভা রানী দত্ত। শিক্ষাজীবনে তিনি এম.এ (বাংলা), এম.এ (ইংরেজি), এম.এ ও এল.এল.বি ডিগ্রি নেন। সাংবাদিক মিহির লাল দত্ত একাধারে কবি, নাট্যকার, গীতিকার, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। তারা বাবা জিতেন্দ্র লাল ও মেজ ভাই সুবীর দত্ত পান্থ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ২০০৭ সালের ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিহির লাল দত্ত।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, তালিকায় ভুল হতে পারে, সংশোধনের সুযোগও থাকবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD